FreeLancer'র আয়ের হিসেব রাখা কেন প্রয়োজন

আপনি ফ্রিল্যান্স কাজ করেন একথা কাউকে জানালে নিশ্চিতভাবেই ধরে নিতে পারেন, পরবর্তী প্রশ্ন হবে, আয় কত ?
প্রশ্নটা যেমন সরল উত্তর ততটাই জটিল। আপনি একমাসে হাজার ডলার আয় করেছেন অর্থ এই না যে আপনি বলতে পারেন আপনি মাসে হাজার ডলার আয় করেন। পরবর্তী মাসে এই আয় কয়েক গুন বেশি হতে পারে, আবার পরবতী কয়েক মাসে আদৌ আয় না থাকতে পারে।




সাধারনভাবে আয় বা মজুরী হিসেব করা হয় ক্ষেত্র বিশেষে ঘন্টাপ্রতি, দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ইত্যাদি নানাভাবে। ফ্রিল্যান্সারকে এর সবগুলিই ব্যবহার করতে হয়, তারপরও এর কোনটির সাথেই পুরোপুরি এক হয় না।
সেকারনেই হিসেব রাখা বিষয়টি বেশি গুরুত্বপুর্ন। যদি নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত আয় হয় তাহলে হয়ত এবিষয়ে মাথা ঘামানো জরুরী মনে হয় না। কিন্তু ফ্রিল্যান্সারের জন্য সবসময়ই একধরনের অনিশ্চয়তার সম্ভাবনা থাকে।
অনেকে বলেন আয়ের হিসেব রাখার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি দৈনিক হিসেব করা। যেমন, বছরে ২৪ হাজার ডলার আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে মাসে ২০ কর্মদিবস হিসেব করলে আপনার দৈনিক আয় প্রয়োজন ১০০ ডলার। এভাবে হিসেব করা তুলনামুলক সহজ।

এর সুবিধেগুলি তুলে ধরা হচ্ছে এই পোষ্টে।
.        আপনার দৈনিক আয়ের লক্ষমাত্রা যদি ১০০ ডলার হয় (অথবা অন্য যাই হোক), আপনার পক্ষে হিসেব করা সম্ভব সেজন্য আপনাকে কতটুকু কাজ করতে হবে, কতটা সময় দিতে হবে, কোন ধরনের কাজ করতে হবে ইত্যাদি। প্রতিদিনই হিসেব করে নেয়া সম্ভব আপনার যতটা কাজ করা প্রয়োজন ততটা করেছেন কি-না।
.        কাজ এবং সময় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকায় খুব সহজে কোন কাজে কতটা সময় দেবেন সেটা ঠিক করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং কাজের বাইরে অন্য কাজের সময় ঠিক করার জন্যও বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন।
.        আপনার ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছেন কিনা জানা সম্ভব খুব সহজেই।
.        আপনার কাজের রেট কত হওয়া উচিত সেবিষয়ে স্পষ্ট ধারনা পেতে পারেন এথেকে। অনেকে প্রত্যাসা এবং প্রাপ্তির পার্থক্যের কারনে এই হিসেব মেটাতে সমস্যায় পড়েন। প্রত্যাসার সাথে হিসেব না মিলিয়ে বাস্তব আয়ের সাথে হিসেব মেলানো ভাল।
.        আপনার লক্ষমাত্রার তুলনায় আয় কত হচ্ছে সেটা হিসেব করে সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আপনার কতটা ব্যয় করা উচিত।
.        হিসেবের রেকর্ড রাখা বিভিন্ন কারনে জরুরী। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য ট্যাক্স দিতে হয় না, এরপরও আয়ের সঠিক উতসের হিসেব না রাখলে আইনগত জটিলতায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

দৈনিক আয়ের হিসেব রাখার বিষয়টি জটিল মনে হতে পারে। বাস্তবে খুব সহজেই এর সমাধান করতে পারেন। একটি স্প্রেডসিট (এক্সেল) তৈরী করে সেখানে প্রতিটি কাজের তথ্য রাখুন। আয়ের পরিমান সেখানে বসালে সাথেসাথেই জেনে যাবেন আপনার দৈনিক আয় কত।

Comments

Popular Posts