How to be Successful Youtuber



গুগলের অন্যতম সেবা হচ্ছে অ্যাডসেন্স। ইউটিউবও গুগলের একটি জনপ্রিয় সেবা। ইতিমধ্যে নিজস্ব ই্উটিউব চ্যানেল দ্বারা আমরা অ্যাডসেন্স একাউন্ট এপ্রুভ বা গুগলের অনুমোদন করাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এবার কিভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সফল হবেন? আসুন তাহলে জেনে নিই সফল হবার কিছু কৌশল যাতে করে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়বে এবং ভিউও বাড়বে-

ক. চাহিদা অনুযায়ী ভিডিও বা কনটেন্ট উপস্থাপন করা-
প্রথমে মনোস্থির করুন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কি ধরনের ভিডিও বা কনটেন্ট রাখবেন। তবে সব ক্ষেত্রেই ভিডিও বা কনটেন্ট নিজেই তৈরি করতে হবে। এতে ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতা যেনো প্রকাশ পায়। আর এতে দর্শকদের চাহিদার কথা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। তাতে করে আপনার চ্যানেলের ভিডিও জনপ্রিয়তা পাবার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
খ. আপলোডকৃত ভিডিও’র টাইটেল, বর্ণনা, কিওয়ার্ড বা ট্যাগ, ম্যাসেজ উল্লেখ করা-
যথাযথভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বা কনটেন্ট আপলোড প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভিডিওটির টাইটেল (Video Titile), বর্ণনা (Description), ট্যাগ (Tag), ম্যাসেজ (Message) ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে। এতে করে যে কোনো সার্চ ইঞ্জিন বিশেষ করে গুগলে আপনার চ্যানেলের ভিডিও বা ভিডিও কনটেন্ট সহজেই অনুসন্ধান করা যাবে।
গ. সামাজিক নেটওয়ার্কে শেয়ার করা-
বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্ক সমূহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যেমন ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস প্রভূতি সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও বা ভিডিও কনটেন্ট মুহূর্তেই ছড়িয়ে দেওয়া যায। এতে করে ভিজিটররা সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
ঘ. মানসম্মত ভিডিও বা ভিডিও কনটেন্ট প্রকাশ করা-
আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মানসম্মত ভিডিও বা ভিডিও কনটেন্ট প্রকাশ করুন যাতে ভিজিটররা বারবার ফিরে আসে। এক্ষেত্রে ভিজিটরদের চাহিদার কথা বিবেচনায় আনতে হবে।
ঙ. কি ধরনের ভিডিও বা ভিডিও কনটেন্ট প্রকাশ করবেন-
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য শিক্ষামূলক বা বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করতে পারেন। যেভাবে ভিডিও তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন সেভাবেই ভিডিও তৈরি করুন। নিচের যে কোন একটি পদ্ধতি বেছে নিতে পারেনঃ
১) এক্ষেত্রে বাসার ভিডিও ক্যামেরাটি ব্যবহার করতে পারেন,
২) ডেস্কটপ পিসিতে ওয়েবক্যাম ব্যবহার করে ভিডিও রেকর্ডের জন্য সফট্ওয়্যার বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন, কিংবা
৩) ইউটিউবের ভিডিও টুলসও ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করা যায়।

চ. বিভিন্ন ব্লগে আপনার চ্যানেলের ভিডিও লিংক শেয়ার করা-
বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্লগসমূহে এই ধরনের বিষয়ের উপরে লিখার পাশাপাশি আপনার চ্যানেলের ভিডিও লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের প্রচারনা চালাতে পারেন। এতে করে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ভিউও বাড়বে।
আমাদের একজন ভিজিটর প্রশ্ন করেছেন কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলে সত্যিকারের আয় বুঝে পাবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্টে লগইন করে পেমেন্ট সেটিংস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট থেকে পেমেন্ট সেটিংস, পেমেন্ট মেথড এ প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে আয় আসতে হবে। আর আয় না আসলে আপনি তা করতে সক্ষম হবেন না। সে পর্যন্ত আপনাকে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে।

Comments

Popular Posts